হাবিব ভাই’র আমবাগানের বাসায় বইসা প্রথম মদ খাইছিলাম। খুব ফাইন মদ। আমি প্রথম প্রথম বলে হাবিব ভাই অভয় দিলেন, আরে মিয়া খাও! এক আধটু পানি মিশাইছি। সমস্যা নাই। একদম একের জিনিশ! তখন নটরডেম কলেজে পড়তেন হাবিব ভাই। পড়াশুনাটা ঠিকঠাক করলেন না। শেষমেষ আর খোঁজ রাখা হয়নাই। সেই হাবিব ভাই বাইক এক্সিডেন্ট কইরা মইরা গেলো বছরখানেক হয়। ইশশ।
শাহ আলম ভাই আর আমি মিইল্ল্যা কত রাইত যে গপ্প কইরা কাটাইলাম। আমরা আরজে ইরাজের শো শুনতাম খুব। ড্রিমস এভিনিউ। ড্রিমস এভিনিউ আজকাল হয় কিনা জানিনা। চমৎকার কিছু সেগমেন্ট হইতো তখন। আরজে ইরাজের রুচিবোধ ছিলো মারাত্মক। এফএম লাইব্রেরী সেগমেন্টে মাঝে মাঝে ছোটগুল্প পড়তো। রুদ্র, আবুল হাসান, শহীদ কাদরীর কবিতা আবৃত্তিও শুনতাম ইরাজের কন্ঠে। ট্রিবিউট টু নাইন্টিজ তো সেইরাম জোশ ছিলো। আমরা একলগে ম্যালা বইপত্র পড়ছি। রুচিসম্পন্ন গান শোনা কিবা সিনেমা দেখা দুইই শিখলাম শাহ আলম ভাই’র থেইকা। জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় কত ঘুরাঘুরি করতাম তখন। শীতের সময়গুলান যে কি ভয়ানক ভালো ছিলো শালার। সেই শাহ আলম ভাইও হাবিব ভাইর লগে নাই হই গেলেন।
বছরখানেক হয় দেখা হয়না আমাদের। জাহাঙ্গীরনগরে যাদের সাথে ছিলাম অনেকের সাথেই আজকাল দেখা হয়না। কই চইল্লা আইলাম। আহারে। সব ফালাইয়া থুইয়া আইলাম। সব। আসার সময় বইপত্র, বিছানাপাতি কিচ্ছু আনিনাই। কিচ্ছু না। একলাই আইলাম। সব নাই হই গেলো। কতদিন দেখা হয়না আমাদের। আহারে।