১
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন, তারা প্রশ্ন করতে চায় এইটুকু জেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খুশি হওয়া উচিত। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, দাবি উত্থাপন, তর্ক-বিতর্ক কখনোই তো খারাপ কিছু না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গতকাল কথা বলতে গিয়ে নানান রকম বিষয় উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন হল তইরি করছেন না, কেন ওয়াইফাই দিচ্ছেন না, ক্যান্টিনগুলো বন্ধ কেন, কেন ফি বাড়ানো হচ্ছে, ব্যাকলগ সমস্যার স্থায়ী সমাধান কি হতে পারে এ নিয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে দিনভর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। যথেষ্ট ফলপ্রসু আলোচনা ছিলো। মাননীয় উপাচার্য স্যার প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের কথা রাখবেন। আশ্বাসের জায়গায় আমাদের বিশ্বাসটুকু ভাঙ্গবেন না।
২
এ আন্দোলনে একটি অভিযোগ উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে নানান রকম চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। খাদিজা হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কি ধরনের আলাপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হয়েছে আমরা তা জানিনা। তবে নৈতিক ও ন্যায্য দাবিতে, মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে খাদিজা হলের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি এখনো ভাবনার বিষয়। শুরু থেকেই একটি অহিংস ও আলোচনা করার সুযোগ রেখেই আন্দোলনটি পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাইনি। পুরো দেশের নানান প্রান্তের তরুণরা এখানে পড়তে আসেন, প্রশাসনে যারা থাকেন কিংবা যারা শিক্ষক তাদের আপনজনেরা, সন্তানেরাও এখানে পড়তে আসেন; আমরা সকলের জন্য দাবি তুলেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছি, থাকার জায়গা চেয়েছি, খাবার চেয়েছি, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়েছি। মাননীয় উপাচার্য্য স্যার দাবিগুলো যৌক্তিক, একথাটি বারংবার বলেছেন। এখানে দমনপীড়ন কিংবা টুটি চেপে ধরার কোন প্রয়োজন ছিলোনা। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বক্তব্যের মূল জায়গাটি বুঝতে পেরেছেন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে প্রশাসন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাজ করবেন এমনটাই আশা করছি।