সোসাইটিতে তরুণদের মধ্যে স্লেভারি, সার্টিফিকেট আর সিভি লম্বা করনের এক ধরণের এক্টিভিজম চালু আছে। তোমরা ভাবো বড় বড় আলাপ, পলিটিক্যাল ব্যানার আর কোর্টটাই পরা লোকেদের সেমিনারে গেলে এক্টিভিস্ট হওন যায় – এইসব হইলো উজবুকি ভাবনা। আমার চোখের সামনেই কত দেখলাম অমন আদর্শ, বিশ্বাস আর দাসত্বের নষ্ট আবর্জনা। অমন এক্টিভিস্ট আমি চাইলে প্রতিদিন শয়েশয়ে প্রডিউস করে দিতে পারবো। অইসব এক্টিভিজমের স্পিচ শুইনা তোমার মনে হবে দেশ এখনই হরিণের পালের মতন ছুইটা যাইতাছে প্রগতি আর আগামীর দিকে [রাবিশ]। অইসব আমার চাওয়ার বিষয় নয়। আদতে এসব দিয়ে কিচ্ছু হয়না এবং দেশ শুয়োরের পালের মতন ছুইটা যাইতা থাকে অন্ধকারের দিকে।
এই এক্টিভিজম ব্যাপারটা পলিটিক্স আর বাণিজ্যিকের লোকেরা দারুণভাবে জনপ্রিয় করতে পারছে। ওরা ব্যানার দিবে, সার্টিফিকেট দিবে, স্টারডম দিবে। তা দিয়া তুমি এক্টিভিস্ট হবা, রাষ্ট্রের সুসন্তান হবা, হরিণের পালের মতন ছুইটা যাবা দিগ্বিদিক, কুত্তার মতন গেউ গেউ করবা, তোমার সিভি লম্বা হবে কিন্তু আদতে এগুলি বুলশিট। একটা জেনারেশনরে দিয়ে যে কিছু হইতেছে না তার একটা কারণ এই পলিটিক্স আর এনজিওয়ালাদের স্ক্রিপ্টিং করা এক্টিভিস্টরা। একটা অন্ধকার এবং শূন্য সময় যাইতেছে। এডুকেশনের মতন একটা ফান্ডামেন্টাল স্ট্রাকচার ভাইঙ্গা যাইতাছে অথচ বিশ্ববিদ্যালয় পাড়ায় সেইসব নিয়ে কোন শব্দ নাই। এইদেশের মুরুব্বিরা কি বিচ্ছিরি, কি নষ্ট! এখানকার শিক্ষকেরা, শিক্ষার্থীরা, এক্টভিস্টরা সরকারদলের কিংবা এনজিওদের প্রেসক্রাইব করা স্ক্রিপ্ট দেইখা দেইখা মিছিল করবে, সমাবেশ করবে, শোক করবে, কীর্তন করবে, প্রতিবাদ করবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার এমন দুর্দিন নিয়ে তারা বলবে না। সময় যে ফেরানো যাবেনা তা নিয়ে কথা বলবেনা। না বলুক তাও মাইনা নেই, কিন্তু শুয়োরগুলান মঞ্চে দাঁড়াইয়া মিথ্যাচার করবে। নষ্ট শব্দ, আবর্জনা দর্শন আর মিথ্যায় বিভ্রান্ত করবে চারপাশ। থু! কিচ্ছু হইতেছে না।