শহিদুল জহির

by Rabiul Awal on March 15, 2018

তো আইজকা আমার মনে হইল শহিদুল জহির খুবই দারুণ লিখছেন। শহিদুল জহিরের সাথে দেখা হওনের আগে জনৈক নারীর সাথে আমার দেখা হইছিল। একদিন তিনি আমারে শহিদুল জহির কিইন্যা দিছিলেন। পাঠক সমাবেশের মোটা বইখান – শহিদুল জহির সমগ্র। এবং আমি পড়লাম। সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো উপন্যাসখান দিয়া শুরু করছিলাম। তারপর ছোটগল্পটল্প ম্যালা পড়ছি। মাঝখানে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ঢলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প, আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু বইগুলান- মানে সব লেখাই একটানা পইড়া ফেলছিলাম। সবযে বুঝছি তা কিন্তু না, কিছু গল্পের মধ্যে ঢুকছি পারছি; কিছু ঠিকমতন ঠাউর হয় নাই। পড়তে পড়তে আমার মনে হইল জহিরের লেখালেখি মানুষজনের পড়া উচিত। জহির পড়লে মাথা এবং তদসংশ্লিষ্ট বিষয়আশয় ডিরেক্ট দুলন দিবো কিংবা মেরুদণ্ড বরাবর খানিক টান লাইগা যাবো – এমন চিন্তা থেইকা ঠিক না। থাকেনা যে কারণে আমি মানুষজনরের মহীনের ঘোড়াগুলির গান সাজেস্ট করতে পারি সেরকম একটা কারণে জহির পড়ন যাইতে পারে। এইখানে বিপন্নতা শব্দটা উল্লেখ থাকুক আপাতত। তো মহীনের ঘোড়াগুলি আমি ক্যান আজকাল বেশী শুনতাছি এইটা কিন্তু বলিনাই এখনো। শহিদুল জহির ঠিক মানে …যেভাবে আমি আপনারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কি কি করছিলাম এ নিয়া একটা মুগ্ধ করার মতন কিংবা ঘোর লাগা গল্প বইলা যামু সেরকম গল্প বলেন নাই কিন্তু। গল্প বলার ধরনটা আমার কাছে আলাদা মনে হইছে। এই আলাদা মানে কিন্তু আর্ট ফিল্ম না। জহির টাইনা পইড়া গেলে কিন্তু একটু ঝামেলা বাইধা যাইতে পারে, লম্বা লম্বা লাইন দিয়া লেখছেন – তো লাইনগুলান একটু ভাঙ্গাইচুরাই আগাইলে গল্পের লগে কিংবা শব্দগুলানের লগে একটা খাতির তইরি হইবো।

ইয়্যুনিভার্সিটিতে আসনের পর আমি ইলিয়াস, ছফা আর জহির পড়লাম। আগেও পড়ছি দুয়েকটা কিন্তু লেখকের লগে একটা ঝগড়াঝাটি বাঁধাইয়া পড়াগুলান ভার্সিটিতে হইছে বেশি। এ পর্যায়ে হুমায়ূন আজাদরে ক্যান জানি কবি কইতে আমার বেশী আনন্দ লাগে। আবুল হাসান আমার খুব প্রিয়। লোকজনের লাইগা রুদ্ররে নিয়া শান্তি পাইনা। জীবনানন্দ দাস তো রহস্য- থাকুক আপাতত। শাহদুজ্জামানের সাথে পরিচয় হওনের পর তো বছর দেড়েক পার হইল মনে হয়। আপাতত মানিক আর আজাদের উপন্যাস আর কিছু রাজনৈতিক প্রবন্ধ লইয়া আছি। মাহী দা’র খোঁজ মিললে আরো কিছু কেতাব টেস্ট করন যাইতো আরকি।

সংবিগ্ন পাখির দিকে দেখি
২০১৭১৫০৩
জয়কৃষ্ণপুর