খালেদ হোসাইনি খুবই দারুণ লিখেন। তিনটা বই পড়লাম লেখকের গত দুতিনমাসে। খুবই চমৎকার স্টোরিটেলিং। দ্য কাইট রানার দিয়া শুরু করলাম। পরের দুইটা উপন্যাস পইড়া আমি বলবো খালেদ হোসাইনি প্রথম কাজটাই সেরা কাজ। খালেদ হোসাইনির জন্ম কাবুল শহরে। ১৯৬৫ সালে। আফগানিস্তানের যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রথমে প্যারিস আর পরবর্তীতে পলিটিক্যাল এসাইলাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চইলা যান। সেইখানে থিতু হওনের পরে ২০০৩ সালে প্রকাশ করেন তার প্রথম উপন্যাস দ্য কাইট রানার। দ্য কাইট রানারের তীব্র জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়া তিনি নোভেলিস্ট হিশেবে একটা স্পেস পান এবং পরে ২০০৭ এ আ থাউজ্যান্ড স্প্লেন্ডিড সান এবং ২০১৩ তে বেরোয় এন্ড দ্য মাউন্টেইন ইকোড।
তিনটি নোভেলই রক্তাক্ত আফগানিস্তানের গল্প বলে আসলে। যুদ্ধ, কম্যুনিস্ট উত্থান, সোভিয়েত সমর্থন, ইসলামিক রিপাবলিক, গৃহযুদ্ধ, নর্থান এলায়েন্স, তালিবান, আমেরিকার মধ্যস্থতা – যুদ্ধের পর যুদ্ধ। এর আগপিছে মানুষ আর তাগো জীবন। জীবন থেকে পালায়া বেড়ানো মানুষের গল্প। এসাইলাম আর রিফিউজি হয়ে উঠা মানুষের দেশে ফিরে যাওয়ার নানান কন্টেক্সট। যুদ্ধের যে মর্মান্তিকতা, নৃশংসতা তার বিপরীতে মানুষের যে জীবন নিয়ে ছুটেচলা এইসব নিয়ে এমন গল্প আর পাই নাই। টানা পড়া যায় না, থাইমা থাইমা আগাইছি, এতো ব্রুটালিটি নেয়া যায় না।