$১.$ লিটফেস্টে যারা যান তাদের কেবল অবয়বটাই চোখে লাগে বাইর থেকে – এর কারণ ভাবতেছিলাম। আসলে উনাদের যে অবয়ব এর বাইরে উনাদের কাজের কোন আহামরি গ্র্যাভিটি নাই। সহজ কইরা বললে উৎপাদন নাই। এতো লিস্ট ফেস্ট গেলো কোন আর্টওয়ার্ক, বইপত্র, সিনেমা কিছুই নিয়ে আলাপ করবার থাকে না বৃহৎ অর্থে। বছরের পর বছর মানুষজন উনাদের শব্দ, শ্যালো কসমোপলিটন সোসাইটি নির্মাণ প্রচেষ্টা আর আধুনিক হবার জন্য যে অবয়ব নেন সেগুলারে গালাগাল কইরা বেড়ান আগপর।
$২.$ বাংলাদেশে যারা বলেন উনারা শিল্প চর্চা করেন, প্রগতিশীল উনারা সবাই একটা অবয়বে ঢুকে যান। কিন্তু উনারা এমন কিছু খুব কমই উৎপাদন করতে পারেন যা সমাজকে আগায় নিতে পারতেছে। এইজন্য শেষতক আসলে কিছুই হয় না। উনারা সরকারের জন্য ভোট চান কিংবা বড়জোর উন্নত দেশে নাগরিকত্ব অর্জন করেন। দেশ বিষন্ন, ক্লান্ত, হতাশ, জটলার মধ্যে আটকে থাকে বছরের পর বছর।
জ্ঞান একটা যাত্রা। মানবিক মানুষ হওয়ার লড়াইও একটা যাত্রা। উৎপাদন না করে, সৃষ্টি না করে কেবলি অবয়ব সর্বস্ব সমাজের সংকট হলো চারপাশে বিড়িখোর আর বড় টিপ কিংবা লম্বা চুলের ছেলেমেয়ে বেড়ে যায় কিন্তু মুগ্ধ হবার মতন কোন কাজ পাওন যায় না। বুদ্ধিভিত্তিক জাগরণ আসে না। বিস্তর হতাশা, বিস্তর শূন্যতা, বিস্তর অন্ধকার। অনেক বেকারত্ব আর কিচ্ছু হইতেছে না এমন।
-
Previous
শোকরানা মাহফিল ও কওমি বিদ্যালয় প্রসঙ্গে -
Next
ফ্রেশার হিশেবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি খোঁজাখুঁজির অভিজ্ঞতা, ক্যাম্পাস জুনিয়রদের জন্য বয়ান