শিউলি ফুল এবং দূর্বা বিষয়ক

by Rabiul Awal on February 20, 2017

যেখানে শিউলি ফুল ফোটেনা বা শিউলি ফুল নেই সেখানে পুরুষ এবং তার সমাজের অনেকখানি অংশই সহজ হইতে পারেনা; সহজ হইতে পারেনা শিউলি ফুল না হইতে পারা তরুণীরাও। অপরাধ নয় ঠিক, একটা বিভ্রান্তিকর ঘোরে মেখে থাকা। তো বইয়ের ভুল বানানে মাথা গুঁজে এগোয় শিশুক্লাস, প্রাণ-প্রকৃতি মাড়িয়ে কয়লা হতে হয় সুন্দরবনকে। দেখি- দুলছেন রাণী, দুলছে চারপাশ। দুলুনির তালে জন্ম নিতে দেখি হাজার হাজার বোকাচোদা শিশুকে।

সকাল হয়। রবীন্দ্রনাথ গান করেন। ব্রাশে মুখ গুজে আয়নাতে মন দেই। ইয়্যুনিভার্সিটি যাই, ক্লাস দেখি, দেয়াল দেখি। দুপুর হয়, বিকাল, সন্ধে। রঙ চা ভাল্লাগে। ফ্রি স্কুল স্ট্রীট মনে পড়ে, মনে পড়ে সবুজ শাড়ি পরা মিসট্রেসের কথা। বিষণ্ণ রাতে দূর্বার সেলফ পোট্রেটে চউখ তুলে চেয়ে থাকি, খুন হই। তারপর ভাল্লাগে না। কফিল আহমেদ গেয়ে উঠেন। আশৈশব সুবিস্তার জীবন ঘুরপাক খায়। নেশা জাগে চোখে। নানান খবর চাউর হয়, সেসবে মন দেই। বিটুল দা’র রঙহীন শার্ট, বিষণ্ণ আজাদ- সক্রেটিসের মতন ভাবাতে থাকে। লিখি, মুছে ফেলি, বলি আবার বলিনা। আহহ।

জীবনটা খুব বেশী বিশাল তাইকিনা এখানে দেখবার মতন, করবার মতন অনেক কিছুই আছে। খুঁজতে হয়, হয়ত খোঁজাটাই জীবন। খুঁজলে আমরা এক কর্নেলকে চিনবো যিনি ফাসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। তবুও কর্নেলকে কেউ লেখে না। আমার কর্নেলকে লিখতে ইচ্ছে করে।