বুকের ভিত্রে ভাল্লুক

by Rabiul Awal on April 27, 2017

পৃথিবীতে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, ভাববার বিষয়। তেতো গরম, ধুলোমাখা বাতাস, উত্তাল প্রকৃতি, বন্যা, মরু, শাদা মুরগির বাচ্চা, হাসপাতাল, গোরুর মতন মানুষ ভাল্লাগে না। গাছগুলো, পাখিগুলো মরে যাচ্ছে। পৃথিবীর জন্য মায়া হয় খুব। রাতকরে পড়াশুনা করে ঘুমোলে ভোর দেখা হয়না, ভোরের একটা মিহি ব্যাপার থাকে, সাইলেন্স। সকালটাও মিস করি প্রতিদিন, পানিদেয়া ভাত আর শাসনি এসব কিছুই নাই আর। অথচ ঘুম ভাঙে তেতো গরমে, সূর্যের চোদনে ঘর থেকে বেরুতে ইচ্ছে করেনা। বিরক্তি লাগে, ঘাম ধরে শরীরে, চারদিকে হইহল্লা এবয়সে আর ভাল্লাগে না। শিউলি ফুলের মতন, বর্ষার কৃষ্ণচূড়ার মতন পৃথিবীটার কি হালটাই না করতাছে গোরুর মতন মানুষেরা। সব গ্লোবাল ওয়ার্মিং খেয়ে দিচ্ছে। হিমালয় গলে গলে একদিন ঘুম ভেঙে দেখবো কয়লা হয়ে গেছি পুড়েটুড়ে কিংবা কিছুই ভাল্লাগছেনা খালি গরম লাগে। এমন গরমের দিনে অংক করতেও ভাল্লাগেনা, মেয়েমানুষ ছেলেমানুষ ভাল্লাগে না, খেতে ভাল্লাগে না, যেতে ভাল্লাগে না, ঘুমাতে ভাল্লাগে না, ফ্যানের আওয়াজ ভাল্লাগে না, বইপত্রঅল পড়তে ইচ্ছে নেই, বিশ্ববিদ্যালয় ভাল্লাগে না; খুব মুশিবত। কবিদের, প্রেমিকদের, শিক্ষকদের, প্রোগ্রামারদের, গায়কদের, সচিবদের, মেয়েমানুষদের উচিত বাচ্চা না বিয়ানো এবং দেয়াল টেয়াল সব ভেঙে প্রতিমাসে দুচারটা গাছ লাগানো। উই নিড অক্সিজেন। তরুণীদের উচিত ঘুমানোর সময় টেডি বেয়ার বুকে না জড়িয়ে, একটা ভাল্লুকের মতন গাছ বুকে নিয়ে ঘুমানো।