art

BARRICADE a film by IRU KHAIRUL KARIM

by Rabiul Awal on April 7, 2017

এই কাজটুকুতে অনেক জিনিশ বলার কিংবা দেখানোর চেষ্টা করা হইছে। প্রথম দেখার পর আমি কবিতাটার দিকে তাকাই ছিলাম খানিকক্ষণ। ইরু খায়রুল ব্যক্তিগতভাবে যে জীবন যাপন করেন সে জীবনের চাপ একদম সেপ্টে দিছেন সিনেমায়। ইন্ডিভিজুয়ালিজম, নিঃসঙ্গ দুপুর, মানবিক খরাকে ঘিরে নদীর শুকিয়ে যাওয়া আর সেইসাথে সমস্ত সংবেগ পেছনে ফেলে আমাদের কাটাকাটির উৎসবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার হালচিত্র। এই এগিয়ে যাওয়াটুকুকে ইরু খায়রুল করিম বলতে চেয়েছেন হাইওয়ের ওভারটেকিংএর মতন; নিঃসঙ্গ, একান্ত একা।

একটা ঘর, একজন কবি। কবির সাথে সে ঘরে একটা মাকড়সাও বাস করে বলে আমরা জানতে পারি। মনোসরণীর নির্ঝন অভয়ারণ্য। কবির দিনভর ঘুরে খোঁজা শহর, দেয়াল, হার্বাল পোস্টার, শুকিয়ে যাওয়া নদীর দিকে তাকিয়ে কবি কবিতা লেখেন। সে কবিতা কি দীর্ঘশ্বাস হয়ে উঠে খুব সকালে। পোড়াতে হয়, সেই পোড়া ছাইয়ে দাঁত মেঝে তরুণটি নতুন সকাল শুরু করে। নাকি দীর্ঘশ্বাস দেয়ালে? হার্বালপোস্টারে? শিশুদেরকান্নায়? কবির স্বস্তি হয়না। অস্বস্তির কারণটিও স্পষ্ট। তরুণটি দ্যাখে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, যাবতীয় অপ্রাপ্তি, বিপ্লব, বিদ্রোহ- ঢেকে গেছে হারবাল পোস্টারে। পৃথিবী ছুটে চলে ভীষণ ভুল পথে / ফিরতে বললে জানি ফিরবে না সে। এইসমস্ত কিছুই কি আমাদের জীবন? ইন্ডিভিজুয়ালিজমের মেঘের তলায় দাঁড়াইয়া কি আমরা দিনদিন অন্ধ, বধির, বাকহীন হয়ে উঠছি না? এইটুকুন পর আমাদের মনে হবে হাহাকারগুলো ঠিক হাহাকার নয়। এগুলো ন্যারেটিভ কিন্তু এসবের একটা ইন্টারোগেটিভ চরিত্র আছে। মিইয়ে যাওয়ার আগে একটা প্রশ্ন রেখে যায়- ভাংচুর করবার ইচ্ছে হয় খুব।

সমস্ত প্রলাপ কিংবা আলাপের শেষে মায়ের কাছে প্রশ্ন – Mother, should I run for president? Mother, should I trust the government?

এইখানে আইসা ব্যক্তিগত থেকে সামগ্রিকের দিকে ছুটে যাওয়ার একটা ইঙ্গিত মেলবে।

মনোসরণী, পিঙ্ক ফ্লয়েড আর কবি ইরু খায়রুল করিম প্যারালালি।

কপালিকা দর্শন ভালো আবৃত্তি করেন এ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার কিছু নাই। রিফাত হাসান দিন দিন ভার্সেটাইল এন্ড মাল্টিট্যালেন্টেড একটা ক্যারেক্টারে পরিণত হইতাছে। ইট’স গুড। জেনিন ভাই FRUSTRATION এও বেশ ভাল ক্যামেরার কাজ করছেন – যথারীতি এবারো ভালো ছিলো। সান্তানু কি দিন দিন আবিষ্কৃত হইতাছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের করিডর থেকে হাসপাতালের বারান্দায় গিয়া সে একই সাথে কবি, আলোকচিত্রী এবং আজকাল সিনেমেটোগ্রাফার। আমার চারপাশের মানুষেরা – তোমরা শিশুদের কান্না শোনার আহ্বান জানাচ্ছো জেনে আমি আনন্দিত হই। যাবতীয় অপ্রাপ্তি-বিপ্লব-বিদ্রোহ পুরোপুরি হার্বাল পোস্টারে এখনো হয়ত ঢেকে যায়নি।