চ্যারিটি হইলো মিডলক্লাস রোমান্টিসিজম। যেসব লোক চ্যারিটি কইরা আরাম পান তাগো পলিটিক্যাল নলেজ খুবই ন্যারো বইলা আমার মনে হয়।
আর রাষ্ট্রের লাইগা চ্যারিটি হইলো রাষ্ট্রের মুখে থুথু দেওনের মতন। প্রতিবাদ, শরমিন্দা করন। চাইরদিকে যত বেশী চ্যারিটি বাড়বে বুঝতে হবে দেশ ততটা খারাপ আছে। এবং এটা যদি জ্যামিতিক আকারে বাড়তে থাকে তখন চ্যারিটি করাটারে এপ্রিশিয়েট করন কমাই দিতে হবে। প্রতিবাদ সবসময় রোমান্টিসিজম দিয়া হয়না। প্রতিবাদের চিন্তা, কৌশল এগুলাতে সময়ের সাথে পরিবর্তন আনতে হবে। চ্যারিটি আমার কাছে প্রতিবাদের মতন মনে হয়, রাষ্ট্র দেউলিয়া হইয়া গেছে বইলা তার জনগন আগাইয়া আসতেছে এবং বলতেছে রাষ্ট্র তুমি অক্ষম, ব্যর্থ, তোমার পাছায় কাপড় নাই, রাষ্ট্র তুমি দেউলিয়া। আর যারা চ্যারিটির এই জায়গাটা বুঝতে পারেন না, চ্যারিটি কইরা খুব মানবিক হইয়া উঠছেন বইলা আরাম পান; পলিটিক্যাল ইম্প্যাক্ট ক্রিয়েট যে করতে পারতাছেন না, রাষ্ট্ররে শরমিন্দা কিংবা বাধ্য করতে পারতেছেন না এইটা নিয়া আপনাগো মন খারাপ করন উচিত। উল্লেখ্য, বিষয়টা নিয়া আমার মন খারাপ হইছে।
চ্যারিটি যতটা মানবিক তারচে বেশী এর পলিটিক্যাল ইম্প্যাক্ট থাকা উচিত। কিন্তু মিডলক্লাস লোকের রোমান্টিসিজম বড়ই যন্ত্রণাকর জিনিশ। আপনারা রোমান্টিসিজম বাদ দিয়া রাষ্ট্ররে বলেন বানভাসী মানুষের খেয়াল রাখতে। এগুলা বুঝতে হবে। চ্যারিটি নিয়াও প্রশ্ন তুলনের সময় আসছে এখন।