বাংলাদেশে এই সময়ের তরুণরা জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থানগুলার সাথে অতিমাত্রায় সাপটায়া আছে। এই বিশাল ইনভলভমেন্ট থেইকা উৎপাদন কি হইতেছে আর কেনইবা জাতিসংঘের সাথে এতো জড়াজড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নাই, গবেষণা নাই, রিলেভেন্ট সভা সেমিনার সিম্পোজিয়াম নাই। মোটাদাগে উৎপাদন বলতে কিছুই এখন হইতেছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলা পরিণত হইছে সরকারের পলিটিক্যাল ক্যানভাসিং ইন্সটিটিউশনে। প্রতিবাদ আন্দোলন তো তেরোর পর থেইকা গতি পায় নাই আর। আওয়ামী সরকারের এই দুই আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আছে জাতিসংঘ আর পান্ডাদের জন্য সরকার দল। এই জাতিসংঘ কারে কই লইয়া যাইতেছে? জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কি উৎপাদনের দিকে আগায়া নিয়া গেলো এইতক? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলা কেবলই জাতিসংঘ সর্বস্ব হয়া উঠতেছে কেন? সাধারণ শিক্ষার্থীরা এইযে গুম, খুন, হত্যা, জেল জুলুম হত্যা এসবে যেমন জড়াইতে পারতেছে না আবার উৎপাদনশীল শিক্ষাতেও নিজেদের নিবেশ করবার পারল না।
আবুল হাসান লেখছিলেন – মৃত্যু আমাকে নিবে জাতিসংঘ আমারে নিবে না। জিও পলিটিক্স নিয়ে আমার বিস্তর ধারণ নাই। কিন্তু পৃথিবীর যুদ্ধ মৃত্যু শরনার্থীর খবর তো পাই নিত্যদিন। অনেক মৃত্যুরেই তো জাতিসংঘ নিতে পারতেছে না। আমাদের তরুণরা জাতিসংঘের কাছ থেকে ইংরেজি আর কালচার শিক্ষা নিতেছে? এতো এতো তরুণ পড়াশুনা থুয়া প্রকৌশল কলা আর্ট সব পাড়ার তরুণ জাতিসংঘের কাছে কি চাইতে পারে? অধ্যাপকরা এই ব্যাপারে কিছু জানেন কিনা তাগো ছাত্ররা যে জাতিসংঘের পেটে ঢুইকা বইসা আছে।