সরকার সব জায়গায় ট্যাক্স ইমপোজ করতেছে। যাচ্ছেতাইভাবে ট্যাক্স ইমপোজ করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী/ মধ্যবিত্ত লোকেরা ট্যাক্সের যন্ত্রোনায় কদিন পর বাঁচতে পারবেনা। অথচ এদিকে ভারতের রিলায়েন্স ও আদানি গ্রুপকে দায়মুক্তি আইনে বিনা টেন্ডারে চার হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ দেয়া হইলো। দেশের উদ্যোক্তারা পয়সাপাতির অভাবে আর সুদ দিতে দিতে মইরা যাইতাছে; ব্যবসা গুটাই নিতেছে, নিজস্ব পুঁজির বিকাশ চরমভাবে নিরুৎসাহিত হইতাছে দিনকেদিন।
নিজের মাটিতে নিজেদের ভালো বিশ্ববিদ্যালয় নাই, শক্তিশালী করপোরেশন নাই, বড় বড় কোম্পানি নাই, গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাই, বাজার নাই, ষোল কোটি মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, নিরাপত্তায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠবার কোন আয়োজন নাই, ঋন কইরা কইরা বছরের পর বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন করন লাগতাছে, মেধাবী লোকগুলান সব দল বাইন্ধা বিদেশে চইলা যাইতাছে।
শীয় পুঁজির বিকাশ না ঘটাইয়াই দেশ হুরহুর কইরা উন্নত হইতাছে। আহা। এইসব মিথ্যাচার ব্যানারের তলায় ঢাকা পড়তাছে। যারা বলতাছে এসবের বিরুদ্ধে, সত্য আওড়াইতাছে এইসব লোক হইয়া উঠতাছে বর্জিত, দণ্ডিত। কোন অন্যায়ই অপ্রকাশিত থাকেনি কখনোই – এসবও থাকবেনা। আপনারা রাঙামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বানাইছেন, সেখানে একটা ক্লাসরুম করতে পারেন নাই স্টুডেন্টগো লাইগা। অথচ এক কিস্তিতে মেম্বারগিরি কইরা লোকজন ঘর দুয়ারে সোনা ফলাইতেছে। হইয়া উঠতাছে রাজসিক দেবদূত।
চশমাটা খুইলা দেখেন পৃথিবী কোথায় চইলা যাইতাছে। দেখেন। ক্যান্সাররের ওষধটা কারা বানাইতেছে, গাড়িগুলান কারা বানাইতেছে, মোবাইলগুলান কারা বানাইতেছে, শিল্পসাহিত্য কারা করতাছে, কাদের সিনেমা পৃথিবী হুমড়ি খাইয়া দেখতেছে, কারা বইপত্র লেখতেছে, কারা বিশ্ববিদ্যালয় বানাইতেছে, টেকনোলজিক্যাল মুভমেন্ট কারা করতাছে, কারা পৃথিবীরে হাতের মুঠাত লইয়া বেদের মেয়ের জোসনার নাচন দেখাইতেছে। এসব দেখেন। রিকগনাইজ করেন।